অনলাইন ডেস্কঃ
গাজীপুর মহানগীর কোনাবাড়ী থানা যুব মহিলালীগের কমিটি নিয়ে যেন বিতর্কের শেষ নেই। দেরিতে হলেও এই বিতর্কের জট যেন খুলতে শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তারই বহিপ্রকাশ । যে কিনা জীবনে কোনদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিতে যার কোন সদস্য পদও ছিলো না, সে কিনা অলৌকিকভাবে কোনাবাড়ী থানা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিলো। এই অলৌকিকভাবে পদ পাওয়া ব্যক্তিটি হলো শান্তনা।
তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। তার লেখা পড়া মাত্র অষ্টম শ্রেণি। ২০১৮ সনের ২৬ জুলাই কোনাবাড়ী থানা যুব মহিলা লীগের তিনমাসের জন্য কমিটি ঘোষণা করে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগ । ওই কমিটিতে আলেয়া আক্তারকে সভাপতি হাসনা হেনাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২০১৮ সনের ২০ অক্টোবর শনিবার কোনাবাড়ী বিসিক ২নং গেটে সম্মেলনের মাধ্যমে আলেয়া আক্তারকে সভাপতি, হাসনাহেনা সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক (এমপি)।
জানা যায় হাসনা হেনা ২০১৫ সনের ২৭ নভেম্বর থেকে ৯ নং ওয়ার্ড যুবমহিলালীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সম্মেলনের ঠিক ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে হাসনা হেনাকে সরিয়ে অলৌকিকভাবে সাধারণ সম্পাদকের পদপায় শান্তনা।
গঠনতন্ত্রের কোন তোয়াক্কা না করে মহানগরের কেন্দ্রীয় কমিটি শান্তনাকে সাধারণ সম্পাদক বানানোয় এমনটিই অভিযোগ সাধারণ কর্মীদের। হাসনা হেনাকে বহিস্কারের কোন চিঠিও দেওয়া হয়নি ওই সময়। তিনি নিজেও জানেন না কেন তাকে তার পদ থেকে বাদ দেওয়া হলো।
সাধারণ কর্মীদের অভিযোগ শান্তনা এই এলাকার ভোটারও ছিলো না। মহানগরের নেত্রীদের ম্যানেজ করেই নাকি পদ পেয়েছেন শান্তনা। এরপর থেকে মুখথুবড়ে আছে কোনাবাড়ী যুব মহিলালীগ। তাদের নেই কোন কার্যক্রম দলের কোন অনুষ্ঠানে দেখা যায় না আলেয়া শান্তনাকে।
কথা হয় হাসনা হেনার সাথে তার পদ থেকে কেন বাদ দেওয়া হলো জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তিনি। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি দলের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডকে গুছিয়েছি। কোন নোটিশ ছাড়াই আমাকে সরিয়ে শান্তনাকে নিয়ে আসা হয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও করেছি সে কোনদিন আওয়ামী রাজীনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না।
শান্তনার সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারা সরকার আনুর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ২০১৮ সনের ৩০ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে সবার সামনে আলেয়াকে সভাপতি এবং হাসনা হেনাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করি। আমি শান্তনাকে চিনি না। কিছুদিন পরে শুনি শান্তনা কোনাবাড়ী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আমাকে না জানিয়ে মহনগীর যুবমহিলালীগের আহবায়ক রুহুন নেসা রুনা শান্তনাকে সাধারণ সম্পাদক বানায়। যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। তিনি বলেন,অচিরেই তদন্ত করে ওই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
-শহিদুল ইসলাম